,

চুনারুঘাটে স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যু :: দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার : চুনারুঘাটে ইউসুফ আলী নামের এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর প্রথম স্ত্রীর করা মামলায় দ্বিতীয় স্ত্রী আমিনা খাতুনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আমিনাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গতকাল বুধবার আমিনার বিরুদ্ধে স্বামীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেন ইউসুফ আলীর প্রথম স্ত্রী লাইজু আক্তার (৩০)। একই দিন উপজেলার গোগাউড়া থেকে আমিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার উত্তর গোগাউড়া গ্রামের আবদুস সালামের মেয়ে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৪ বছর আগে লাইজু আক্তারকে বিয়ে করেন ইউসুফ আলী। দাম্পত্য জীবনে তাঁদের দুই ছেলে রয়েছে। কয়েক বছর আগে বন্ধু বাঘমারা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী আমিনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ইউসুফ। বাচ্চু ও আমিনার দাম্পত্য জীবনেও দুই সন্তান রয়েছে। বাচ্চু কাজের জন্য বিদেশে চলে গেলে আমিনা ও ইউসুফ পালিয়ে বিয়ে করেন। তাঁরা অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপনে চলে যান।
পাঁচ বছর আত্মগোপনে থাকার পর সম্প্রতি ইউসুফ তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে মিলেমিশে একত্রে বসবাস করার প্রস্তাব করেন। এতে রাগ করে আমিনা খাতুন বাবার বাড়ি চলে যান। গত ২ মে ইউসুফ আমিনাদের বাড়ি গিয়ে তাঁকে বুঝিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে চান। কিন্তু আমিনা ইউসুফের সঙ্গে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানান এবং তাঁকে গালমন্দ করেন। পরদিন সকালে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি থেকে ইউসুফ আলীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ২ মে রাতে ইউসুফ আলী তাঁর প্রথম স্ত্রী লাইজুকে ফোন করে আমিনা খাতুনের অপমানের কথা জানান। এ সময় তাঁর (লাইজু) প্রতি অনেক অন্যায় করা হয়েছে বলে ক্ষমা চান ইউসুফ।
ইউসুফ আলীর বোন রাজিয়া খাতুন বলেন, তাঁর ভাইকে আমিনা খাতুন ও তার লোকজন বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। তিনি ভাই হত্যার সঠিক বিচার দাবি করেন।
চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক জানান, ইউসুফের মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড, তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে জানা যাবে। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রীর করা মামলায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর